কর্মজীবনে এগিয়ে থাকার কিছু পরামর্শ
কর্মজীবনে সফলকাম হতে কেবল আপনার জন্য বরাদ্দ কাজটুকু করাটাই প্রধান নয়, বরং একই সাথে আপনার যোগ্যতাকে সকলের সামনে ফুটিয়ে তোলাটাও মুখ্য।কিছু ছোট ছোট অভ্যাস রপ্ত করা কর্মক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।
নিজের মতামতের উপর আস্থা রাখুন
আপনার নিজস্ব মতামত বা বুদ্ধিকে ব্যক্ত করুন। কর্পোরেট জীবনে সফল ব্যাক্তিরা নিজের মতামতের উপর আস্থা রেখে এগিয়ে যান। কর্মক্ষেত্রে নিজেকে, নিজের অর্জনকে এবং নিজের কাজ বা প্রকল্পকে সকলের কাছে তুলে ধরাটাও গুরুত্বপূর্ণ। চ্যালেঞ্জগুলোকে খুঁজে বের করুন এবং সমাধানের পথ বাতলে নিন, সহকর্মীদের কাছে আন্তরিকতার সাথে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করুন। যখন আপনি নিজের মতের উপর দৃঢ় বিশ্বাসী হবেন, তখন অন্যরাও আপনার মতামতকে প্রাধান্য দেবে এবং সমর্থন জোগাবে।
“না” বলা আয়ত্ব করুন
অযাচিত অনুরোধ বা অন্যায় আবদারের সাথে আপোস করবেন না। “না” বলতে পারাটা আপনার দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।
চারপাশের মানুষদের কর্মপদ্ধতি অধ্যয়ন করুন
আপনার সহকর্মীরা কীভাবে কাজ করে লক্ষ্য করুন, তাদের মতামতকে আগ্রহের আথে শুনুন। এতে আপনি ভিন্ন উপায়ে কাজ করার ধারনা পাবেন এবং আপনার অফিস-এ কাজ করার ধরণ উন্নত হবে। অন্যের মতামতের প্রতি আন্তরিকতা প্রকাশ করলে তারাও আপনার সাথে কাজ করতে সবাছন্দ্যবোধ করবে।
ঝুঁকি নিতে শিখুন
নিজের গতানুগতিক কর্মপদ্ধতির বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয়তোবা অস্বস্তিবোধ করতে পারেন, কিন্তু যখন আপনি ঝুঁকি নিতে শুরু করবেন, তখন তা আপনার বিকল্প চিন্তাধারার পথকে উন্মুক্ত করে তুলবে। একইসাথে আপনি নিজের পদের জন্য নিজের আত্মবিশ্বাস ও যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন।
সঠিক ব্যক্তির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন
সহকর্মীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। একইসাথে সুসম্পর্ক তৈরি করা উচিত শিক্ষনীয় ব্যক্তিদের সাথে। ক্যারিয়ারের সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে নতুন কিছু শেখা এবং দক্ষতাবৃদ্ধির বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া চলে না। মেন্টরদের ভুমিকা এক্ষেত্রে অনস্বীকার্য, তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান আপনার সাফল্যের পথকে এগিয়ে আনবে। এমনকি তারা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে আপনার পেশাদারী নেটওয়ার্কিংকে সহজতর করে তুলতে সাহায্য করেন।
মার্জিত আচরণ করুন
প্লিজ, “থ্যাঙ্ক ইউ” – এই ছোট্ট শব্দগুলো সহকর্মীদের নিকট আপনার আন্তরিকতার পরিচায়ক হয়ে উঠবে। আন্তরিক ব্যাক্তিদের সাথে কাজ করতে যে কেউই স্বাছন্দ্যবোধ করে।
মুক্তমনা হোন এবং পরিবর্তনের প্রতি উদার মনোভাব রাখুন
পরিবর্তন সর্বত্রই বিরাজমান এবং একে আপন করে নিতে হবে। কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তন, ব্যবস্থাপনা, কর্মপদ্ধতি বা প্রযুক্তিগত পরিবর্তন অহরহ ঘটে থাকে এবং এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। পরিবর্তনে অনাগ্রহ সাফল্যের পথকে সংকীর্ণ করে।