চাকরির পাশাপাশি সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা
গত কয়েক বছরে স্টার্ট-আপ এবং উদ্যোক্তাদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়, প্রতিটি নতুন ব্যবসা একজন অসাধারণ, অনুপ্রেরণীয় গো-গেটার দ্বারা শুরু হয়েছিল যারা সব কিছুর বিরুদ্ধে বাজি রেখে প্রায় রাতারাতিই বড় কোম্পানিগুলোর সাথে নিজেদের নাম যোগ করতে পেরেছে। কিন্ত বাস্তবচিত্র বেশ কঠিন। বেশির ভাগ ছোট ব্যবসা এবং স্টার্ট-আপ প্রথম চার বছরে কোন সফলতা পায় না। তাই, এলন মাস্ক এবং রিচার্ড ব্র্যানসন এর মত ব্যবসায়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথে না চলাই ভাল।
কখনো কখনো ব্যবসার ব্যাপারে নিরাপদ অবস্থানে থাকা ভালো। কিন্তু চাকরির পাশাপাশি কিভাবে নিজের ব্যবসা এবং শুরু করবেন, তা নিয়ে ভাবছেন? আমাদের কাছে কিছু সহজ বুদ্ধি আছে।
কঠিনভাবে সময়সূচী তৈরি করা
যেকোন ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে সময়ের গুরুত্ব বুঝতে হবে। যেকোন উদ্যোক্তার প্রথমেই নিজেকে সময়ের ব্যাপারে কঠিন ও সুশৃংখল হতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে সুশৃংখল না হলে নিজের চাকরি নিয়েই হিমশিম খাবেন, ব্যবসা তো দূরের কথা।
কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে সুশৃংখল করার জন্য একটি সময়সূচী করতে হবে এবং সেটি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। অফিস টাইমের মধ্যে আপনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেবেন অফিসে সব কাজ শেষ করে ফেলার, যাতে অফিসের পরে এবং ছুটির দিনগুলো আপনি আপনার ব্যবসার জন্য দিতে পারেন। এতে ক্লান্তি কম হবে। প্রয়োজনে এক ঘন্টার লাঞ্চ ব্রেক থেকে আধা ঘন্টা কমিয়ে দিন; একটু কষ্ট হবে কিন্তু এর ফল ভবিষ্যতে ভাল হবে।
কাজকে দুই ভাগে ভাগ করুন – ‘করা হয়েছে’ এবং ‘করা হয়নি’
কখনো নিজের করণীয় কাজে তালিকা দেখে ভড়কে যান? এটা আমাদের সবারই হয়। কিন্তু ভয় পেয়ে লাভ হবে না। একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিন, এবার কাজের তালিকা দেখে, কাজের গুরুত্ব বুঝে একটা একটা করে কাজ শেষ করে ফেলুন। যখন দেখবেন যে তালিকার একটা কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে এবং সেটা আপনি কেটে দিয়েছেন, তখন বাকি কাজগুলোও শেষ করার জন্য অনুপ্রেরণা পাবেন।
সমস্যার কারণ খুঁজে বের করা
চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন? আপনি ব্যবসায় উদ্যোগী কেন হয়েছিলেন তা পুনর্বিবেচনা করুন। যদি আপনার ব্যবসা আপনাকে প্রেরণা না দেয়, তাহলে হয়তো ব্যবসার ধরণকে পুনর্বিবেচনা করার সময় চলে এসেছে। যদি এই হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই নিজেকে কিছু সৃজনশীল করার জন্য সময় দিবেন যাতে সহজে ক্লান্তি না আসে।
ছোট থেকে শুরু করুন
ব্যবসার প্রথম পাঁচ বছরেই আপনি একটি বিশাল কোম্পানি হয়ে যেতে পারবেন না তাই ছোট থেকে শুরু করাই ভাল। সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য স্বপ্ন অবশ্যই দেখতে হবে, তবে তাই বলে নিজেকে বেশি চাপ দেয়া যাবে না। যদি ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য অনেক মোটা অংকের ঋণ নিতে হয়, তাহলে শুরুটা ভাল হচ্ছে না।
প্রথমেই ইট-পাথরে তৈরি দোকান না দিয়ে একটি অন-লাইন দোকান খোলা যাতে পারে। আরো ভালো হয় যদি Shopify online store খুলতে পারেন, এতে ই-কমার্সের মত ঝামেলা নেই।
সমর্থকদের কাছে রাখুন, অনুপ্রেরণাকে বেশি কাছে রাখুন
আপনার কি অনেক সমর্থনকারী আছে? চমৎকার! কঠিন সময়ে এই ধরণের বন্ধুদের ওপর নির্ভর করুন। তাদের সাথে কিছুটা সময় ব্যয় করুন, বেশি করে জ্ঞান অর্জন করুন; www.girlboss.com বা অনুরূপ ওয়েবসাইট বা ব্লগগুলো পড়ুন এবং আরো অন্যান্য বই যাতে নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং মজার মজার টিপস্ থাকে।