In life, you have to be your own hero. Verbal abuse, emotional trauma and physical exploitation’s are different names of Domestic Violence. It’s about time, we stand up, speak out and use self-defense techniques to fight against this in the long run.

“হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে”। হঠাৎ এই কথা দিয়ে লিখা শুরু করার কারন? অনেকেরই ধারনা আছে যে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা পারিবারিক সহিংসতা মানেই গায়ে হাত তোলা।
কিন্তু নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, মুখের বলা কথায় আপনি প্রতিনিয়ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছেন না কি?  


আমাদের দেশের মেয়েদের নিরাপত্তা ও তাদের উপর নির্যাতন নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।
সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে নির্যাতনের অনেক ঘটনাই আমাদের সামনে আসে। প্রতিটি ঘটনার পেছনে কাহিনী আমরা হয়তো অর্ধেকও জানি না। নির্যাতনের পরিমাণ কিরূপ হলে মা তার সন্তানকে মেরে নিজের প্রানও নিয়ে নিতে পারে? সেইটা বর্ণনাতীত। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আসুন রুখে দাড়াই। নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করি যেন আপনি নিজের পাশাপাশি আপনার পাশের মানুষটিকেও নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেন। নিজেকে সেলফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে গড়ে তুলুন এক নতুন “আমি”-তে।

হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী
ছোটবেলা থেকেই আমাদের মেয়েদের মধ্যে এই ধারনার অনুপ্রবেশ করানো হয় যে মেয়ে মানেই
“তুমি অসহায়, তুমি ভঙ্গুর, তুমি দুর্বল”। তবে এই ফ্যাক্টকে পরিবর্তন করার উপায় হিসেবে নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলুন যেন  কারও উপর কখনো নির্ভর করতে না হয়। শিক্ষার দিক থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখুন। এগিয়ে রাখুন আর্থিক দিক থেকেও। এতে করে আত্মবিশ্বাস বহু গুনে বেড়ে যাবে।
ফলে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্ভয়ে আপনার সাথে হওয়া অন্যায় ও নির্যাতনের বিপক্ষে কথা বলতে পারবেন।

গড়ে তুলুন মানসিক শক্তি

দৃঢ় মনোবল থেকেই জন্ম নেয় প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ থেকেই আসবে প্রতিরোধ।

শারীরিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি মানসিকভাবে যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকুন। মনোবল কে হাতিয়ার বানিয়ে ফেলুন। অনেক ক্ষেত্রে  মনের জোরেই অনন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। দৃঢ় মনোবল থাকলে নিজের মতামত কে সবার আগে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। এর মাধ্যমে  অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে সুন্দরভাবে সামলে নিতে পারবেন।

অসহায় বোধ করা থেকে বিরত থাকুন
বাসায় হওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে যখন কথা বলার কেউ থাকে না। যখন কেউ ভয়ে আতঙ্কে জর্জরিত হয়ে সব অপমান সহ্য করতে থাকেন। সেই মুহূর্তের অসহায় বোধ আর নতুন করে বলার নেই। এমন পরিস্থিতিতে  নিরাপত্তার জন্য এখন আর অন্য কাউকে ডেকে নিতে হবে না। সেলফ ডিফেন্স শিখে নিলে আপনি অন্তত এতোটা অসহায় বোধ করবেন না। নিজেকে তখন পুরোপুরি ব্যর্থ ও নিষ্ফল বলে মনে হবে না। বরং আপনার কথা, মতামত এবং ইচ্ছাকে তখন আপনি প্রাধান্য দিতে সাহস পাবেন।

সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য
বিপদ কখন কোথা থেকে আসবে তা জানা নেই। তবে নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখুন।
নিজের মধ্যে আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
কোন ছোট ঘটনাও খুব ভয়ানক আকার ধারন করতে পারে। তাই সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
নিরবতা ভেঙ্গে প্রতিবাদ করার সঠিক সময় কোনটা?  সেটা আপনার বিবেচনা করে নিতে হবে।

নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সাহায্য করতে পারার মধ্যে এক স্বস্তি আছে।  অন্য কারও উপর নিজের নিরাপত্তার জন্য অসহায়ের মত নির্ভর করতে হবে না। নিজের জন্য আপনি নিজেই কথা বলতে পারবেন। নিজের সাথে হওয়া অন্যায় ও অবিচার বিরদ্ধে রুখে দাড়াতে পারবেন। তাই তৈরি হোন ও আত্মশক্তিতে বলিয়ান হয়ে উঠুন।

 

  • Read more about domestic violence here.
  • Along with domestic violence read about tips for boosting your confidence here.