We sometimes need a little push in our lives to get on the right track. There are some inspirational movies that have great potential to motivate and inspire. These 5 inspirational movies can inspire you to move ahead in your life and get the things you want.

কথায় আছে, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ থেকেই আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে শেখা উচিত।
শুধু নেতৃস্থানীয় মানুষের জীবনীই নয়। বইয়ের পাতা আর রুপালি পর্দার, কাল্পনিক চরিত্র গুলোও অনেকসময় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়ায় ! এরকমই পাঁচটি চমৎকার চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের আয়োজন।


ফরেস্ট গাম্প
টম হ্যাঙ্কস অভিনীত এই চলচ্চিত্রটিকে হলিউডের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে মানা হয়। সিনেমাটির মুখ্য চরিত্র ফরেস্ট একজন শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। কিন্তু তার এই প্রতিবন্ধকতা দমিয়ে রাখতে পারেনি তাকে কখনই। বরং দুর্বল শারীরিক গঠন হওয়া সত্ত্বেও সে দৌড়িয়ে সমগ্র দেশ পাড়ি দেয়। চলচ্চিত্রটি আরো শেখায় দয়ালু এবং দানশীল হতে। যুদ্ধের ময়দানে পরিচয় হওয়া বাব্বা ছিল ফরেস্টের প্রতি দয়ালু। বাব্বার মৃত্যুর পর ফরেস্ট তার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তার নামে একটি ব্যবসা পরিচালনা করে। এর লাভের ভাগটুকু তুলে দেয় প্রয়াত বাব্বার মায়ের হাতে। ফরেস্ট গাম্প মুভিটি আরো শিখায় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তোলার জন্য।

শশাঙ্ক রিড্যাম্পশন
এন্ডি ডুফ্রেন, যাকে শশাঙ্ক কারাগারে আনা হয় তার স্ত্রীকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে।
সাধাসিধে, শান্ত এন্ডি শশাঙ্কে বারবার নিপীড়িত হয়। তার দক্ষতার কারণে গভর্নর তার সাজা মওকুফের সুযোগ কেড়ে নেয়। তার পরেও এন্ডি আশাহত হয়নি।  শুধু তাই নয়, তার লক্ষ্য ছিল নিজের এবং সাথে পাশের মানুষগুলোর অবস্থানের উন্নয়ন। গভর্নরের দুর্নীতির জন্য তার সাজা নিশ্চিত করে এন্ডি। শশাঙ্ক থেকে নিজের পালানোর পথ সে নিজেই একটু একটু করে বাতলে নেয়। এন্ডির কারাগার থেকে নিজেকে মুক্তি দেওয়ার দৃশ্যটি আপনার মনকে নাড়া দিয়ে যাবে!

শশাঙ্ক রিড্যাম্পশন কিভাবে যেকোনো পরিস্থিতির সুযোগ্য ব্যবহার করা যায়? সেই গল্প নিয়েই নির্মিত একটি দারুণ চলচ্চিত্র।

দা পারস্যুট অফ হ্যাপিনেস
চমৎকার এই চলচ্চিত্রটি ক্রিস গার্ডনার নামক এক ধনকুবেরের জীবনসংগ্রামের গল্প।
ক্রিসের জীবন চলতো করুণভাবে, দুই বেলা খাবার জোটানোও ছিল তার জন্য খুবই কষ্টের।
সেই অবস্থা থেকে সে তার ইতিবাচক মনোভাব, দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। হাল ছাড়েনি হাজার বিপত্তির মাঝেও।

দা পারস্যুট অফ হ্যাপিনেস সিনেমাটি আমাদের জানায় কিভাবে অন্যের মতামতের পরোয়া না করে নিজের বিশ্বাসকে মূল্য দিতে হয়। ক্রিসের ধৈর্যশীলতা হাজার কষ্ট আর ব্যর্থতার মাঝেও আবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়।

লাইফ ইজ বিউটিফুল
রবার্টো বেনিনির এই চলচ্চিত্রের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্বয়ং বেনিনিই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় ইহুদী হওয়ার অপরাধে তাকে ও তার পুত্রসন্তানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। যেখানে গ্যাস প্রয়োগে প্রাণহরণ করা হত শিশুদের। এই অসহায় পরিস্থিতিতে কিভাবে তার শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখা যায় তাই ছিল পিতা গুইডোর লক্ষ্য। সাথে তাকে ভুলিয়ে লুকিয়ে রাখার জন্য গুইডো ফেঁদেছিল চমৎকার এক গল্প। বলেছিল নাৎসি বাহিনী বাচ্চাদের লুকোচুরি খেলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। বিজয়ীর জন্য পুরস্কার হিসেবে আছে একটি বিশাল ট্যাঙ্ক।

চলচ্চিত্রটির গভীর দুঃখের কাহিনীর সাথে রয়েছে বেনিনির সরল হাস্যরসাত্মক নানা কারসাজি।
যা আমাদের চরম দুরবস্থার মাঝেও নিজের হিউমারকে খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে শেখায়। শেখায় সহজে আশাহত না হয়ে সুন্দর এই জীবনকে উপভোগ করার।

ব্লাইন্ড সাইড
সান্ড্রা বুলক অভিনীত এই সিনেমাটিতে দয়াশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত দেখতে পাবেন।
ব্লাইন্ড সাইড চলচ্চিত্রটি মাইকেল ওহেরের জীবনকাহিনী নিয়ে নির্মিত। যাকে লেই ও তার পরিবার নিজেদেরই একজন হিসেবে গ্রহণ করেছিল। এজন্য লেইকে সমাজের কাছে সমালোচিত হতে হয়েছিল। কেননা মাইকেল ছিল একজন অশ্বেতাঙ্গ টিনেজার বালক। লেইয়ের পরিবারে এই গৃহহীন ছেলেটির উপস্থিতি বাইরের মানুষেরা ভালো নজরে নেয়নি। কিন্তু লেই তার নিজের মতের উপর আস্থা রেখে অসহায় মাইকেলকে পরিবারেরই একজনের মতো পরিচর্যা করেছিল।

সহমর্মিতা ও দয়ার মাধ্যমে নিজের ও অন্যের জীবনের আলো এনে দেওয়ার গুণটুকুই আমাদের মানুষ করে তোলে। লেই ও তার পরিবার আমাদের তাই শিক্ষা দেয়।
  • Check out for more inspirational movies here.
  • Along with getting inspired from this 5 inspirational movies, read this article here.