ঢাকার পার্কসমূহ
Restaurant hopping may sometimes get a little boring, not to mention unhealthy, too. Listed below are some parks in Dhaka city where you can take a stroll and a breathe of fresh air.
সাপ্তাহিক বন্ধে অথবা প্রতিদিনের রুটিনেই হোক, নিরিবিলি পার্কে বসে শহরের যান্ত্রিকতা ভুলে যেতে কার না ভাল লাগে? কেউ বা নিয়মিত ভোরবেলা ব্যায়াম করার জন্য বা বিকেলবেলা একটু রিল্যাক্স সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন পার্কে গিয়ে থাকেন। ঢাকা শহরের পার্কগুলো সম্পর্কে আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই।
গুলশান লেক পার্ক
শহরের যান্ত্রিকতার ভিড়ে এক টুকরো শান্তি পাবেন গুলশান লেক ভিউ পার্কে। সবুজে ঘেরা চমৎকার নিরিবিলি এক পরিবেশে আপনি কাটাতে পারেন কিছু প্রশান্তি ও স্বস্তির সময়। লেকের পাড় ঘেঁষে রয়েছে সুন্দর ওয়াক-ওয়ে। এই পার্কে আছে ভাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আছে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা। বিশেষ করে সকালে ও বিকেলে সবাই এখানে জগিং, ইয়োগা ও এক্সারসাইজ করতে আসে। যদিও সকাল ৯টার পর ভিড় একটু বেড়ে যায়। ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় অবস্থিত এই পার্কটি ক্লান্তি ভুলে আরাম করার জন্য উপযুক্ত স্থান। এখানে আপনি আরও পাবেন বোটানিক্যাল গার্ডেন, বসার সুব্যবস্থা এবং শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা।
অবস্থানঃ রোড# ৬০, গুলশান ২, ঢাকা, বাংলাদেশ
ওসমানী উদ্যান
২৩.৩৭ একর জমি নিয়ে গঠিত ওসমানী উদ্যানটির মূল ফটকের পরে অবস্থিত। স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এর প্রধান ফটকে থাকা ম্যাপে এই উদ্যানের প্রাঙ্গণ ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত। যা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও তাৎপর্য বহন করে! ঐতিহ্যে ভরপুর এই উদ্যানের পূর্বদিকে মুক্তিযুদ্ধ ক্লাব অবস্থিত।
এছাড়া এখানে দেখতে পাবেন দুর্লভ প্রজাতির গাছ, ফুলের বাগান, বালুর দ্বীপ। এবং এই উদ্যানের অন্যতম শোভা বর্ধনকারী মীর জুমলার কামান! সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে থাকা এই উদ্যানটি তুলনামূলক সুরক্ষিত ও যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
অবস্থানঃ গুলিস্তানের ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বিপরীত পাশে অবস্থিত। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
বাংলার স্বাধীনতার চেতনার অন্যতম সাক্ষী হিসেবে মোঘল আমলে গড়ে ওঠা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাকার রেসকোর্স ময়দান নামেও পরিচিত। এই পার্কের বিভিন্ন প্রাঙ্গনের মধ্যে রয়েছে বটতলা, চারু অঙ্গন, শিখা চিরন্তনি, বৃক্ষমায়া, লালন চর্চা অঙ্গন ইত্যাদি। এখানে রয়েছে নানান ধরনের গাছ যেমন বটগাছ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, মেহগনি এর পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ঔষধি গাছ যেমন অর্জুন, গর্জন, হরিতকি, গেওয়া, নিম ও আরও নানা রকম গাছ। এখানে আরও আছে লেক, মন্দির এবং দিঘী। পার্কের পাশে তো আছেই টি.এস.সি, শিশু পার্ক ও বাংলা একাডেমী। এই পার্কে কোন স্থায়ী রেস্তোরা না থাকলেও আছে বিভিন্ন অস্থায়ী ফুডকার্ট ও টঙ দোকান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
অবস্থানঃ ঢাকার শাহবাগে রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবিস্থিত। সপ্তাহের প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
বলধা গার্ডেন
সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে আপনাকে দূরে কোথাও যেতে হবে না।
ঢাকার মধ্যেই ঘুরে আসুন বলধা গার্ডেন। পুরো জায়গাটাকে ২টি বিশেষ ভাগে ভাগ করা হয়েছে সাইকি ও সিবিলি। সাইকি অংশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা সহ দেশী-বিদেশী ক্যাকটাস। সিবিলি অংশে রয়েছে শঙ্খনদ পুকুর ও বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির গাছ। বলধা গার্ডেনে আছে ৬০০ থেকেও বেশি প্রজাতির গাছ সহ ২০০ প্রজাতির গোলাপ! বলধা গার্ডেনে শানবাঁধানো পুকুর ঘাটও রয়েছে। এখানে আরও একটি আকর্ষণের বস্তু হচ্ছে সূর্যঘড়ি। যা সূর্যের মাধ্যমে সময় নির্ণয় করে দেয়।
অবস্থানঃ টিপু সুলতান রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ