সকাল বেলার পাখি হওয়ার উপকারীতা!
Scientifically speaking, early birds benefit more than nocturnal species when it comes to having a healthy and active life! Learn about the incredible benefits only a morning person experiences.
সফল ব্যক্তিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কি জানেন? তাদের বেশিরভাগই দিন শুরু করেন ভোরে। বর্তমানে প্রযুক্তি-ঘেরা জীবনপদ্ধতির কারণে আমরা অনেকেই দেরীতে ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেছি।ফলে পরদিন ঘুম ভাঙতে ভাঙতেই বেলা গড়িয়ে যায়। এতে করে হারিয়ে যায় দিনের অনেকটুকু মূল্যবান সময়। যে সময়টায় ব্যয় করা যেত কোন প্রয়োজনীয় কাজের পিছনে।
কথায় আছে, বাঙালি আরামপ্রিয় জাতি। আর সেই আরামের উৎস যদি সকালের ঘুম হয়, তবে তো কথাই নেই! কিন্তু, এই আরামকে বিসর্জন দেওয়াতে আছে অনেক উপকারিতা। ভোরের পাখি হয়ে পা বাড়ান সাফল্যের পথে।
আপনার কাজের সময় বৃদ্ধি পায়ঃ
আপনার দিনটি যত জলদি শুরু হবে, আপনি হাতে থাকা কাজগুলো সেরে নিতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি। ফলে তাড়াহুড়া না করে, ঠাণ্ডা মাথায় এবং আরো সুপরিকল্পিতভাবে দিনের কাজগুলো করে নেওয়া যায়। এতে করে আপনার কাজ নির্ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আপনার দিনটি হবে আরো প্রোডাক্টিভ।
উপভোগ করতে পারবেন সকালের স্নিগ্ধতাঃ
দিনের শুরুতে, ভোরবেলা যখন পুরো শহরতলী ঘুমের আবেশে, যান্ত্রিকতার গুঞ্জন তখনও শুরু হয় না।
এমন সময় ঘুম ভাঙলে আপনি উপভোগ করতে পারবেন ভোরের ঠাণ্ডা বাতাস, পাখির কলকাকলি আর কোলাহলবিহীন শান্ত পরিবেশ! দিনের প্রারম্ভে এমন চমৎকার স্নিগ্ধতা আপনার বাকী দিনটিকে ভালো কাটাতে সাহায্য করবে।
সময় দিতে পারবেন নিজেকেঃ
ভোরে বিছানা ত্যাগের অন্যতম প্রধান উপকার হল – আপনি নিজের জন্য বের নিতে পারবেন আরো অনেকটা সময়। এসময় পরিবেশ থাকে কোলাহলবিহীন, বেরিয়ে যেতে পারেন ব্যায়ামে। জগিং বা জোগব্যায়ামের জন্য ভোর আদর্শ সময়। ফলে আপনি বাকী দিনটির জন্য হয়ে যাবেন তৈরি, নিজেকে প্রাণবন্ত ও দৃঢ়চেতা মনে হবে। তাছাড়া আপনি কাজে বেরিয়ে পড়ার আগে সেরে নিতে পারবেন ব্রেকফাস্ট। যা কিনা আপনার দিনের জন্য জ্বালানী হিসেবে কাজ করবে।
তাছাড়া তাড়াতাড়ি কাজ সেরে নেওয়ার কারণে পছন্দের কাজগুলোর জন্যেও সময় বের করে নিতে পারবেন।
জীবন হবে সুশৃঙ্খলঃ
সকালে বিছানার উষ্ণতা ছেড়ে উঠে পড়া কিন্তু সহজ কথা নয়। অ্যালার্মের ডাক উপেক্ষা করে আবার ঘুমে তলিয়ে পড়ে অনেক ঘুমপাগল মানুষ। প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর শৃঙ্খলতার ফলে এই রুটিন আয়ত্ত করা সম্ভব হয়। ভোরের পাখিরা এভাবেই নিজের সুশৃঙ্খলতার গুণটি রপ্ত করে নেন, যা পরবর্তীতে তাদের সকল কাজেই ফুটে উঠে। শুধু সকালে নয়, তারা দিনভর, অন্যান্য সকল কাজ করে থাকে সুশৃঙ্খলভাবে এবং সুনিপুণভাবে।
সুখী জীবনের রুপদায়কঃ
ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টোর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভোরে দিন শুরু করা ব্যক্তিরা রাতজাগাদের তুলনায় বেশি সুখী ও সমৃদ্ধ। তারা নিজেদের যত্নের পেছনে সময় বের করে নেন, শরীর ও মন – দু’টিরই। এমনকি তারা ঘুমিয়েও পড়েন তাড়াতাড়ি, ফলে সকালে ফুরফুরে মেজাজে এবং প্রাণবন্তভাবে কাজে নেমে পড়তে সক্ষম হন। সাফল্যও তাই তাদের কাছে জলদিই ধরা দেয়।