উদ্বিগ্নতা কমিয়ে মনকে দিন প্রশান্তি
Overwhelming anxiety can sometimes trigger panic attacks and hit you out of nowhere. Bottling up emotions may cause one’s mental state to deteriorate. Read below to find out ways to soothe yourself during such crisis.
সাধারণত অতিরিক্ত স্ট্রেস মানসিক চাপ থেকেই আমাদের মধ্যে ত্রাস, সংশয় ও আতঙ্কগ্রস্থ হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়! জানেন কি স্ট্রেস আর উদ্বিগ্ন হবার প্রবণতা হাতে হাত রেখে চলা ফেরা করে?তাই উদ্বিগ্ন হওয়া নিয়ে আর স্ট্রেস না বাড়িয়ে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়গুলো জেনে নিই।
জীবনযাপন আরও সহজ করার জন্য তৈরি প্রযুক্তিই আমাদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে দিচ্ছে। প্রযুক্তি যতটা উন্নত হচ্ছে আমরা ততটাই অফিসের কাজ, সামাজিক জীবন, বহির্বিশ্বকে প্রয়োজনের বেশি সময় দিয়ে যাচ্ছি। ৯টা-৬টা অফিসের পরও কলিগদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে কাজ সম্পর্কিত কথাবার্তা বলি, তাই না? তখন কাজের স্ট্রেস তো স্বাভাবিকভাবে বাড়বেই। নিজের জন্য সময়টা কোথাও আপনার? অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থেকে সেই সময়টা হয়তো কাটাতে পারেন বই পড়ে বা পছন্দের কোন কাজ করে। এতে আপনার মানসিক চাপ অনেকটা কমে যাবে!
অফিসের কাজের ফাঁকে বা ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই এক কাপ চা বা কফি আমাদের লাগবেই! ক্যাফেইন কাজের প্রতি স্ট্যামিনা বাড়ায় সত্যি। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহনের ফলে এর বিরূপ প্রভাবও পড়ে! এটি উদ্বেগ, উত্তেজনা বা দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেয়, যা আমরা সাধারণত “এংজাইটি” নামে জেনে থাকি।
তবে শুধু ক্যাফেইনই কি আমাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ার প্রধান কারন? না, বরং ইহাকে দেহের নার্ভাস সিস্টেমে উত্তেজনার অনুঘটক বলা চলে। তাই আপনাকে ক্যাফেইন গ্রহন পুরোপুরি বিসর্জন দিতে হবে না শুধু একটু ব্যাল্যান্স করে চলতে হবে, ব্যস!
যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় আমরা নার্ভাস বা উদ্বিগ্ন হয়ে যাই। দেখা যায় সারাদিন অফিসে ভাল থাকার পর যখন বস মিটিং এ ডাকে তখনই হাত পা ঠাণ্ডা হতে থাকে। উদ্বিগ্ন হওয়াটা আসলে স্বাভাবিক।
আর তাই এই স্বাভাবিকভাবে আসা অনুভুতিকেও আপনি স্বাভাবিক থাকতে দিন।
মনে রাখবেন নার্ভাসনেস বা উদ্বিগ্ন হওয়ার সময়টা খুব ক্ষণস্থায়ী। আর এটাকে যতবেশি রিল্যাক্স করবেন আপনার রিকভার হবার সুযোগ তত বেশি।
তাই অতিরিক্ত চিন্তা বাদ দিয়ে আপনার অবস্থাকে মেনে নিতে হবে! মেনে নেয়া সম্ভব না হলে অন্তত অভিনয় করুন আর মনে মনে বলুন, ‘আমি ভাল আছি’! কিছু পাওয়ার-পোজ প্র্যাকটিস করুন। যেমন; সোজা হয়ে বসা বা দাঁড়ানো। কাজের ফাঁকেফাঁকে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যায়াম অনুশীলন করার মাধ্যমেও উদ্বিগ্নতা কমিয়ে মনকে শান্ত করতে পারেন।