নতুন ম্যানেজার হিসেবে এড়িয়ে চলবেন যে ভুলগুলো
Let’s face it; the start of any new job is scary. Listed below are a few do’s and don’t’s for you as a first time manager.
কোন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদে নিযুক্ত হয়েছেন? তবে অভিনন্দন আপনাকে! এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি আপনার সম্মুখে খুলে দেবে অপার সম্ভাবনার দ্বার। আর নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পাশাপাশি মুখোমুখি হবেন নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের। যখনই আমরা নতুন কোন দায়িত্ব পাই, পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে ঘটে নানান ভুলত্রুটি। কিন্তু, ব্যাবস্থাপকের পদটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, ছোট্ট কোনও ভুলের জন্য দিতে হতে পারে বিরাট মাশুল। যার দায় কিন্তু ম্যানেজারেরই। তাছাড়া কোম্পানির অর্থবহ এই পদে নিয়োজিত ব্যক্তিটি কিন্তু অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। তাই নতুন ম্যানেজার হিসেবে কোন ভুলগুলো হতে সাবধান থাকবেন, জেনে নিন এখানেই!
দায়িত্ব ভাগ করে দিতে না পারাঃ
একজন নতুন ম্যানেজার হিসেবে আপনার থাকবে নানামুখী দায়িত্ব! এবং আপনাকে তা পালন করতে হবে সুনিপুণভাবে। কিন্তু আপনি একাই সবকিছুর দায়ভার নিলে বাকি থেকে যাবে অনেক কাজই।
তাই সঠিক ব্যক্তি বা দলের সাথে ভাগ করে নিতে হবে তালিকার কাজগুলো।
মনে রাখবেন, এতে করে আপনার দলের সফলতার হারও বেড়ে যায়! আর আপনার দল সফল হলে আপনিও সফল লীডার হিসেবেই চিহ্নিত হবেন।
সময়ানুবর্তী না হওয়াঃ
লক্ষ্য করে দেখেছেন? কোন কাজের ফাঁকে মিটিং এর ডাক পড়লে এবং মিটিং সময় অনুযায়ী না হলে তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়? একজন সুযোগ্য ম্যানেজার হবেন সময়ানুবর্তী। আপনি যাতে কারো অপেক্ষা বা বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ান সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। কেননা, এতে করে আপনি তাদের কাজের সময় ও প্রোডাক্টিভিটি নষ্ট করছেন। একান্তই অপরিহার্য কারণে দেরি হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিন।
রাতারাতি পরিবর্তনের চেষ্টাঃ
অনেকক্ষেত্রেই নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যানেজারেরা রাতারাতি নানান নিয়মকানুন জারি করে প্রচলিত নিয়মগুলোকে পাল্টানোর চেষ্টা করেন! সে হোক ঠিক কিংবা ভুল। কিন্তু এই নিয়মগুলো আপনারই দলের সদস্যদেরই গড়ে তোলা কাজের অভ্যাস। তাই ভুল ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারে ধীরে এগোন। দলের কাজের ধারাকে বুঝার চেষ্টা করুন এবং সমস্যার মূলকে খুঁজে বের করে পথ বেছে নিন।
দলকে জানুনঃ
একজন নতুন ম্যানেজার হিসেবে সময় দিতে হবে আপনার দলকে। তাদের কর্মপদ্ধতি বুঝে নিন এবং সে অনুযায়ী তাদের কাজ বুঝিয়ে দিন। তাদের প্রত্যেকের কাছে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে জানতে চান তাদের সমস্যার কথা বা মতামত। তাদের ভুল হলে এমনভাবে জানান যাতে তারা অপমানিতবোধ না করেন বা হীনমন্যতায় না ভোগেন।
নিজস্বতা গড়ে না তোলাঃ
অনেক সময় সদ্য নিযুক্ত ম্যানেজার তার আগের ম্যানেজারের কর্মপদ্ধতি অনুকরণ করেন। এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়, কিন্তু আপনার বৃদ্ধি, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন ও শেখার পথে এটি একটি বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে! তাছাড়া সবার কাজের পদ্ধতি একই না হতে পারে। তাই স্বতন্ত্রভাবে কাজ করাই শ্রেয়।
লক্ষ্যপূরণ না করা ও মিথ্যা আশ্বাস দেওয়াঃ
নতুন ম্যানেজারদের মধ্যে অনেক সময় তাদের দল ও ঊর্ধ্বতনদের সন্তুষ্ট রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এর জন্য তারা অনেক আশ্বাস দিয়ে থাকেন। যা হয়ত বাস্তবিকভাবে চিন্তা করলে অদূর ভবিষ্যতে পূরণ করা সম্ভব না। আবার অনেকেই নানান টার্গেট দিয়ে থাকেন যা নির্ধারিত সময়ে পুরণ করা সম্ভবপর নয়। এমন বাস্তববিরোধী আশ্বাস বা লক্ষ্য স্থাপন করে অপ্রিয় পাত্র হবেন না।