ডাক্তার যখন উপেক্ষা করেন অসুস্থতার লক্ষণ!
Ever wondered that your physician could be wrong ignoring your physical discomforts? Read below to find out when doctors don’t pay attention to young women.
তরুণ বয়সটা উচ্ছাসের সময়, সুস্থ দেহ ও মন নিয়ে পূর্ণ উদ্দ্যমে এগিয়ে চলার সময়! কিন্তু সুন্দর সময়টুকু মুহূর্তেই ম্লান হয়ে পড়ে, যখন শরীরে ভর করে অসুস্থতার কোন লক্ষণ।
২১-৩০ বছর বয়সী নারীদের সম্মুখীন হতে হয় নানান স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার। এই সময়টুকু তাদের এগিয়ে যাওয়ার সময়। কিন্তু শারীরিক সমস্যা এই এগিয়ে যাওয়ার পথকে করে তোলে বন্ধুর। এই বয়সী নারীদের দেখা দিতে পারে রজঃস্রাব ও জননতন্ত্রজনিত অসুস্থতা।
এই সকল অসুস্থতার রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ। যা আমরা অনেক সময় উপেক্ষা করে থাকি! অনেকেই ভেবে থাকি, এটাই হয়ত স্বাভাবিক বা “আর ক’টা দিন দেখি”।
আবার আমরা অনেকেই শরণাপন্ন হই চিকিৎসকের। কিন্তু নারীস্বাস্থ্য সম্পর্কে স্বল্পজ্ঞান থাকার ফলে অনেক চিকিৎসকই ফিরিয়ে দেন রোগীদের। কেউবা ব্যাথার ওষুধ লিখে দেন, আবার কেউ উপেক্ষা করেন।
এক্ষেত্রে, আপনার শারীরিক সমস্যার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে আপনাকেই। আজকাল অনেক রোগিণীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা ওভারিয়ান সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিস বা জরায়ুর কোন সমস্যায় ভুগছেন। অনেকে ভুগে থাকেন হাড় বা পেশীর ব্যাথায়, কারো হতে পারে ব্লাড প্রেশারের তারতম্য। আবার কেউ ভুক্তভোগী হৃদযন্ত্রের সমস্যার, কেউ বা থাইরয়েড গ্রন্থির কারণে কাবু। চিকিৎসকের উপেক্ষা এইসব শারীরিক সমস্যাকে আরো বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। কেননা, রোগী তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে সাময়িক চিকিৎসায় সন্তুষ্ট থাকেন।
চিকিৎসকের এই অগ্রাহ্যতার কারণে আপনার উপসর্গগুলো রূপ নিতে পারে বড় কোন অসুখে। হতেই পারে তলপেটের যে অসহনীয় ব্যাথাটিকে আপনি মাসিকের সময়কার স্বাভাবিক ব্যাথা ভেবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তা আসলে ওভারিয়ান সিস্ট বা জরায়ুর ক্যান্সারের উপসর্গ। কিংবা হাড়ের ব্যাথাটিকে ব্যাথানাশক দিয়ে চেপে গিয়েছেন, তা হচ্ছিল হাড় ক্ষয়ের কারণে।
এই ধরণের উপেক্ষার কারণে হয়ত চেপে গেলেন স্তনের আশপাশের “কেমন যেন” মাংশপেশিটিকে। হতেই পারে মরণব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে আপনার শরীরে।