কোঁকড়া চুলের যত্নে
Taking care of curly hair is no easy business. So here are the most effective curly hair care tips to give your hair the attention it deserves.
একটা সময় ছিল যখন সবাই সিল্কি স্ট্রেইট চুল চাইতো। কিন্তু এখন মানুষের পছন্দ এবং স্টাইলের ধরন বদলেছে। সাথে বদলেছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞাও। এখন স্ট্রেইট চুলের সাথে তাল মিলিয়ে কার্লি অথবা কোঁকড়া চুলের চাহিদাও কম না! যদিও কোঁকড়া চুলের জন্য চর্চা একটু বেশি প্রয়োজন। কিন্তু ঠিকমত যত্ন করলে কোঁকড়া চুলের সৌন্দর্য অদ্বিতীয়।
চুল কোঁকড়া হলে ম্যানেজ করতে অনেকেরই সমস্যা হয়। তাই কার্লি চুল যেন নরম এবং ঝরঝরে করতে তেল এর ব্যবহার এর কোন বিকল্প নেই। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন ঠিক মত তেল দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেললে চুলের রুক্ষভাব অনেকটাই কমে আসে।
মাসে ৪দিন হটওয়েল ম্যাসাজ করতে পারলে তা চুলের জন্য অনেক উপকারি! বিশেষ করে কার্লি চুলের গোড়া শক্ত করতে অনেক কার্যকরি। তেল হালকা গরম করে, চাইলে তাতে কিছু মেথি এবং আমলকী বেঁটে দিলে আরও ভালো কাজ করবে।
এলোভেরাজেল কার্লিচুলের জন্য যাদুর মত কাজ করে! কারন এতে থাকে কিছু ময়াশ্চারাইজিং প্রপার্টি যা চুলকে করবে নরম এবং ঝরঝরে। প্রথম ব্যবহারের পরই পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
চুল নরম করায় আরেকটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে ডিম! মাসে ২ দিন ডিম ভালো করে ফেটে, তার সাথে চাইলে এলভেরাজেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ফেলবেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলের গোড়ায় কম লাগে। এতে করে গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
কার্লি চুলের আরেকটি না জানা ব্যাপার হচ্ছে, ভেজা চুলে চিকন চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুল আরও ফ্রিজি হয়ে যায়! এবং ম্যানেজ করা সমস্যা হয়ে দাড়ায়। তাই গোসলের পর, চুল হাত দিয়ে অথবা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানো উচিত।
জানেন কি? ভেজা চুল বেঁধে রাখলে সব ধরণের চুলেই অনেক ক্ষতি হয়। কার্লি চুলে তা আরও বেশি।
কারন কোঁকড়া চুল শুকাতে সময় নেয়। কোঁকড়া চুল বেঁধে রাখলে তা আরও বেশি কোঁকড়া হয়ে যায়! এবং সামলানো খুব কষ্টের হয়ে দাড়ায়।