মেঘের কোলে সাইরুর ডাক
Be it a family trip or a retreat for your soul, Sairu Hill Resort has it covered! Read below to know more about what this peace haven has to offer.
সারা বছর খাটাখাটুনির পর, বছর শেষে দলবল নিয়ে বেড়িয়ে পড়া হয় আমাদের প্রায় সকলেরই! কেউ সুদূরের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে পাড়ি দেয় আকাশের সীমানায়, দূর দেশে। কেউ আবার সময়স্বল্পতা বা স্বল্প বাজেটের কারণে দেশের ভেতরেই কোথাও ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেন।
বাংলাদেশের চতুর্দিকে সৌন্দর্যের অপার উৎস কোথাও নীল জলের সমুদ্র, কোথায় সবুজ বন, আবার কোথাও পাহাড়ের দল।
যদি পাহাড়ের বুকে মেঘের খেলা দেখতে মন চায়? বান্দরবানে দেখা মিলবে মনোরম এই দৃশ্যের।
আপনার এই ভ্রমণে স্মৃতি আরো মধুর হয়ে উঠবে, যদি বিশ্রামের ব্যবস্থাটি হয় প্রশান্তির। এই অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই বান্দরবানের বুকে সাইরু হিল রিসোর্টের পথচলা। বান্দরবান থেকে থানচির দিকে প্রায় এক ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাবেন এই রিসোর্টে। যা কিনা চিম্বুক পাহাড়ের পাশেই! পথে বিরতি নিয়ে পান করুন এক কাপ গরম চা কিংবা চেখে দেখুন পাহাড়ি সুমিষ্ট কলা।
পাহাড়ের চূড়ায় সাইরুতে পা রাখার পরপরই তাদের প্রশান্ত পরিবেশে মন ভরে যাবে! অভ্যর্থনার জায়গাটিতে আছে ইজিচেয়ার। যেখানে বসে আপনি বিশ্রাম নিতে পারবেন। স্থানীয় ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে এর নকশা করা, যা পরিবেশবান্ধব।
সাইরুতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের। কটেজ ভাড়া করতে পারেন পুরো পরিবারের জন্য কিংবা তাদের অন্যান্য রুমগুলো নিতে পারেন আলাদা। আছে সাঙ্গু নদীর চোখজুড়ানো দৃশ্য উপভোগ করার জন্য বিশেষ ঘর। যাতে আছে নিজস্ব বারান্দা! রুম ভাড়া শুরু ১১ হাজার টাকা থেকে। প্রতিটি কক্ষ চমৎকার স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এবং অতিথিদের যেন পরিবেশের আরো সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।
আশেপাশে সবুজের ছড়াছড়ি, আড্ডায় মেতে উঠুন কোনও গাছতলে, কিংবা হয়ে যাক গানের আসর! রিল্যাক্স করতে পারবেন তাদের ইনফিনিটি পুলে বা জাকুজিতেও। অথবা উপভোগ করুন শান্ত আকাশকে, মেঘের পাড়ি দেওয়া দেখুন, কিংবা রাতের আকাশের অগণিত তারা। বর্ষায় হঠাৎ বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাবে চারপাশকে।
সাইরুতে আছে মেডিটেশন সেন্টার! পাহাড়ি শান্ত পরিবেশের মাঝে যোগ ব্যায়াম করে প্রকৃতির সাথে একাত্মবোধ করতে পারবেন নিমেষেই। অতিথিদের জন্য অভিজ্ঞ নির্দেশক আছেন যারা আপনাদের সাহায্য করবেন।
খাবারের জন্য নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে এখানে, আছে ব্যুফে আর জুস বারের আয়োজন। সাইরুর খাবার তৈরি হয় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে।