ক্রোধ দমনে করণীয়
It’s better to be patient and calm in times of facing a stressful situation. Learn more about anger management and the right ways of dealing with it.
আমরা সাধারনত ‘রাগান্বিত’ বা ক্রুদ্ধ হওয়াকে নেতিবাচক বলে সংজ্ঞায়িত করে থাকি। যদিও তা আমাদের অন্যান্য স্বাভাবিক অনুভূতির মধ্যেই একটি! আমাদের হাসিকান্নার মতই রাগও একটি অনুভূতি প্রকাশ করার মাধ্যম মাত্র। এই রাগের পিছনে থাকতে পারে কোন ক্ষোভ, দুঃখ, কষ্ট বা ভালবাসায় ঘেরা অভিমানও। তাই রাগ থাকা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। যদি না তা অতিমাত্রায় হয় বা কারও ক্ষতির কারন হয়।
রাগ আপনাকে নয়? বরং আপনি রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন। রাগ যখন আপনাকে নিয়ন্ত্রন করে পরিস্থিতি তখনই খারাপের দিকে যায়! কেননা রাগের মাথায় আপনি এক ঘোরের মাঝে থেকে হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আপনার মস্তিষ্ক এক চিন্তা থেকে আরেক চিন্তায় যেতে থাকে। মন্দ থেকে আরও মন্দ হতে পরিস্থিতি। সব অনুভূতি মিলেমিশে একাকার হতে থাকে। আর এইসব কিছু এতো দ্রুত হতে থাকে! যে আপনি বুঝে উঠার আগেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়।
তাই পরিস্থিতি আপনার হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই সামলে নিন! আর নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসুন আপনার রাগ।
প্রথমত মনস্থির করুন। গভির শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নিজেকে শান্ত করুন। নিঃশ্বাস থেকে প্রশ্বাসের স্থায়িত্বকাল যেন বেশি হয়। এভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস আপনার সাময়িক ক্রোধকে দমিয়ে আপনার মনকে শান্ত করতে পারে। এর পাশাপাশি ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনে দেখুন এর মধ্যে আপনি এক স্থিতিশীল পর্যায়ে চলে আসতে পারেন! রাগের সময় পেশিসমূহ উত্তেজিত ও টানটান হয়ে ওঠে। চেষ্টা করুন সেই পেশীগুলোকে শান্ত করার।
আপনার কিছুটা সময় নিতে হতে পারে নিজেকে বুঝতে ও বুঝানোর জন্য। যখন বুঝতে পারবেন আপনি রাগান্বিত হতে চলেছেন? তখনই একটা টাইম-আউট নিন! সবকিছু তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে হবে না। সব কথা তখনি না বলে ধীরেসুস্থে বলুন। এতে ক্ষতি না বরং লাভ হবে। কোন কিছু নিয়ে তাড়াহুড়ো ও চাপ সৃষ্টি বিষয়কে আরও গম্ভির ও খারাপ করে দেয়। তাই সময় নেওয়া রাগ দমানোর পূর্বশর্ত হিসেবে ধরা যেতে পারে। মনে রাখবেন রাগ কেবলই ক্ষণস্থায়ী একটি ব্যাপার! একটা সময় পর আপনি নিজেই উপলব্ধি করবেন আপনি কতটা অযৌক্তিক আচরণে ব্যস্ত ছিলেন আপনার রাগান্বিত সময়ে।
নিজের সাথে কিছু কথা বলেন। তবে খেয়াল রাখুন তা যেন ইতিবাচক কথা হয়! অন্যের উপর রাগ কমানোর জন্য অন্যতম উপায় হচ্ছে নিজেকে তার জায়গায় রেখে দেখা। কলহ বা তর্কের বিষয়টা অপরপক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করুন। আর যদি সম্ভব হয় কেউ দোষ করলেও তার পক্ষে যুক্তি প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন।
এছাড়াও ব্যায়াম, ইয়োগা বা মেডিটেশানের মাধ্যমেও আপনি আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন! আপনার মনকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সরিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পারেন।প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে আপনার নিজেকে এভাবেই গাইড করে যেতে হবে। তবে প্রয়োজনে আপনি ডাক্তারে্র পরামর্শে বিভিন্ন থেরাপি নিতে পারেন আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে।