শীতের সর্দিকাশি নিরাময়ে ঘরোয়া উপায়
Are your allergies being too overwhelming? You’re surely not alone and especially during the change of season, this is a common phenomenon. Learn more about getting substantial relief from few cold allergy remedies!
এখন সকালে পাতলা কুয়াশা দেখা যায়। হালকা ঠান্ডা বাতাসের পরশে বোঝা যায় আসছে শীত। শীতের আগমনী বার্তা আমাদের মধ্যে নিয়ে আসে আনন্দ। নানারকম পিঠা পুলির স্বাদ নেয়া আর কাচা রোদ মেখে ঘুরতে যাওয়ার মৌসুম ই যে এটা। কিন্তু শুধু আনন্দ না, শীত আরো সাথে করে নিয়ে আসে সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা জনিত সমস্যাকে। কিন্তু কোল্ড অ্যালার্জিকে চাইলেই দূরে রাখা যায় সতর্ক থাকলে। আর ঘরোয়া উপায়েই দূর করা যায় এসব ঠান্ডাজনিত রোগ!
শীতে শ্বাসতন্ত্রের রোগ অনেক বেশি হয়। শীতের শুরুতেই জ্বর, সর্দি ও কাশি যেন আঁকড়ে ধরে।
এছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত দেহের দুর্বলতার সুযোগে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করে থাকে। তবে ঠান্ডা বা সর্দির শুরুর দিকেই যদি এর প্রাথমিক প্রতিকার নিশ্চিত করা যায়, তবে পরবর্তী জটিলতা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব! সেজন্যে ওষুধ না খেয়ে ঘরেই, প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
তরল খাবারঃ
সর্দিতে ফলের জুস, ভেষজ চা কিংবা মুরগীর স্যুপও হতে পারে দারুণ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবজির সাথে করা মুরগীর স্যুপ শরীরের রক্তে নিউট্রোফিলস নামের শ্বেত রক্তকণিকার চলাচলের গতি ধীর করে। যা শরীরে জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে! এছাড়া অন্যান্য তরল খাবার ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান ঠান্ডার সংক্রমন থেকে দূরে রাখে।
লবন পানিঃ
লবণ পানি দিয়ে নিয়মিত গারগোল বা কুলকুচি করা সর্দি কাশি থেকে আরাম পেতে সাহায্য করে।
প্রথমে একটি পাত্রে উষ্ণ গরম পানিতে হবে। তারপর উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে সেই লবণ পানি দিয়ে গারগোল করতে হবে।
খাবার খাওয়ার সময় উষ্ণ গরম পানি খেলে গলায় আরাম হয় এবং সর্দি কাশিও তাড়াতাড়ি সেরে যায়! গরম পানি ফুলে যাওয়া টনসিলকে কমায় এবং ঠাণ্ডা লাগার ইনফেকশন শরীর থেকে বের করে দেয়।
মধু ও লেবুঃ
জানেন কি মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক? ঠান্ডাজনিত সমস্যায় দারুন কাজ করে।
এটি গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। সকালে হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া চা-এ চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে খেতে পারেন।
অন্যদিকে লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়েই দেখুন ভালো ফিল করবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন।
আদা ও রসুনঃ
প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে।
আদা চা ও টুকরো আদা লবনে মাখিয়ে খেলে গলার কফ পরিষ্কার হয় ও খুসখুসে ভাব কমে।
এ ছাড়াও আদার রসের সঙ্গে মধু ও কুসুম গরম পানি খেলে দ্রুত কাশি নিরাময় হবে।
রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে তাতে গরম পানি দিয়ে শরবত করে নিন। পাঁচ মিনিট পর মিশ্রণটি পান করুন, অতি দ্রুত ভালো ফিল করবেন।
তুলসি
তুলসি রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। এছাড়াও, সর্দি সারাতে এটি দারুণভাবে কাজ করে।
দুধ ও হলুদঃ
হলুদের রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা অনেক স্বাস্থ্যগত সমস্যার চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ঠান্ডা ও কাশির বিরুদ্ধে যুদ্ধে উষ্ণ দুধে অল্প হলুদের মিশ্রণ জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায়।